পিপিএন বাংলা, নিউজ ডেস্কঃ ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে স্পেশ্যাল স্ট্যাটাসের তকমা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তার আগে থেকেই অবশ্য উপত্যকা সরগরম। অমরনাথ যাত্রায় হামলার আশঙ্কায় উপত্যকা ছাড়তে বলা হয়েছে তীর্থযাত্রীদের। এমনকী তাদের এয়ারলিফট করে আনা হয়েছে। কাশ্মীরের ক্রিকেট ক্যাম্প থেকে ফিরতে বলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর রঞ্জি দলের ক্রিকেটার তথা মেন্টর ইরফান পাঠানকে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, অমরনাথ যাত্রা বাতিল করে সবাইকে ফিরতে বলার আগে কি সব কিছু খতিয়ে দেখেছিল সরকার? এই প্রশ্নকারীদের একহাত নিলেন ইরফান। প্রশ্ন তুললেন তাঁদের মানসিকতা নিয়ে।
একটি টুইট করে নিজের বক্তব্য জানান ইরফান। টুইটে তিনি লেখেন, “অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে সবাইকে ফিরতে বলার মানে নিশ্চয় এর উপর হামলার আশঙ্কা ছিল। সেইজন্যই সুরক্ষাব্যবস্থা এতটা বাড়ানো হয়েছে। নিজেদের মানসিকতা বদলান। সসব বিষয়ে ধর্মকে টেনে আনবেন না। সব বিষয়ে প্রমাণ চাইবেন না।”
নিজেদের ক্রিকেট ক্যাম্প ছেড়ে ফিরতে হয়েছে ইরফানকেও। সেই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমের সামনে ভারতের এই বাঁহাতি পেস বোলার জানান, “আমাদের ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৪ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত প্রথমে ক্যাম্প হওয়ার পর ১০ দিনের ছুটি নিয়ে ফের ২৫ জুলাই থেকে শুরু হয়েছিল ক্যাম্প। ১০০ জন ক্রিকেটারকেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
গত কয়েক দিন ধরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। কয়েকদিন আগেই অমরনাথ যাত্রা পথের পাশেই পাক সেনার স্নাইফার রাইফেল ও মাইন উদ্ধার করে সেনা। সাংবাদিক সম্মেলন করে তা দেখানো হয়। তারপরেই সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে সতর্কতা জারি করে প্রশাসন। নিরাপত্তার স্বার্থে তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের অবিলম্বে কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। গোটা পরিস্থিতিতে কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়েন পর্যটক থেকে আম কাশ্মীরবাসী। বিমানের টিকিন না মেলায় শনিবার পর্যন্ত ব্যাপক ভিড় দেখা যায় শ্রীগনর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে।
শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তালিকা অনুযায়ী, শনিবার থেকে বিমান পথে উপত্যকা ছেড়েছেন ৬,২০০ জনের বেশি যাত্রী। অন্তত ৫,৮২৯ জনকে উড়িয়ে নিয়ে গেছে ৩২ টিরও বেশি এয়ারলাইন্স। বাকিদের মধ্যে ৩৮৭ জনকে এয়ারলিফট দিয়েছে বায়ুসেনার বিমান। জম্মু, পাঠানকোট ও হিন্দনের নানা জায়গা থেকে এয়ারক্রাফ্টে তোলা হয়েছে তাদের।
এরপর রবিবার সকালেই কাশ্মীরের কেরন সেক্টরে ভারতীয় সেনার হাতে পাক ব্যাট ফোর্সের ৭ জওয়ান খতম হয়। ভারতীয় সেনা তাদের ছবিও প্রকাশ করে। পাকিস্তানকে বলা হয়, সেইসব দেহ নিয়ে যেতে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উপত্যকার ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ।