পিপিএন বাংলা, নিউজ ডেস্ক: একসময় দলের প্রতি অভিমানবশত নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন। তারপর অন্য সংগঠনে যােগ দিয়ে রাজনীতিও করেছেন। কিন্তু বিধানসভা ভােটের মুখে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্ত করার লক্ষ্য দলে ফিরে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এককালের সতীর্থ আবদুল খালেক। মালদা জেলার চাঁচল বিধানসভা এলাকায় থাকেন তিনি।
গত মঙ্গলবার রাজ্যের পুর ও নগরােন্নয়ন মন্ত্রী তথা রাজ্য তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক ফিরহাদ হাকিম মালদায় পা রেখে ত্রিস্তরীয় জনপ্রতিনিধি এবং জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পরে মহানন্দা ভবেনে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুর ও সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মােশারফ হােসেনকে সঙ্গে নিয়ে ফিরহাদের সঙ্গে দেখা করেন আবদুল খালেক। পুরানাে দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই ফিরহাদ তাকে দলে নেওয়ার সবুজ সংকেত দেন।
এরপর শুক্রবার। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সদর কার্যালয় নূর ম্যানসনে শ’খানেক অনুগামী নিয়ে ফের তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে তুলে নেন আবদুল খালেক। এই দলবদলের অনুষ্ঠানে মৌসম নুর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি ডা.মােয়াজ্জেম হােসেন, চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা, বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। তৃণমূলে যােগ দিয়ে আবদুল খালেক বলেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তৃণমূলে ছিলাম।
মাঝে মনোমালিন্য তার কারণে দলত্যাগ করি। কিন্তু বাংলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিব্রত করার জন্য সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলে বিজেপি বাংলায় অনুপ্রবেশের যে চেষ্টা করছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া প্রয়ােজন বলে মনে করছি। তাই তৃণমূলে যােগদান।তার এই যোগদানের পরেই চাঁচলে যেকোনো জায়গায় কান পাতলেই শুনা যাচ্ছে, তবে এবার চাচল থেকে শাসকদলের প্রতীকে প্রার্থী হবেন আব্দুল খালেক? উল্লেখ্য ২০০৬ বিধানসভা নির্বাচনে খরবা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুল খালেক।